Mar 16, 2020

বেরসিকের পেনশন( Pension of witless)


শিশুকাল Childhood ঃ গ্রামের সবুজ  ঘন বনে ঘেরা ছোট কুটিরে কোন এক সোমবারে (মায়ের মুখ থেকে শুনা)  জন্ম বেরসিকের।সম্ভবতঃ ১৯৬৩ সন।বয়স যখন ৪/৫ বছর ভর্তি করা হল মাদ্রাসায়  ইসলামী শিক্ষার সাথে বাল্য শিক্ষা।  দাদা ও বাবা প্রথম


শ্রেণীতে পড়া কালিন একদিন পর পর কলেরায় মারা যান। মা এবং দু'বছরের বড়ো ভাই এ-র তদারকিতে সংসার চলতে থাকে ,সংসারে সদস্য পাঁচ ভাই দুবোন । তিন মাস পরে ছোট ভাই মারা যায়। ১৯৭৩ সনে বন্যায় ফসলের ক্ষতি হওয়ায় দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। আল্লাহ সে সময় তাদের সহায় হন।
স্কুল জীবন (School Life) : বাড়ী থেকে দুই কিলোমিটার দুরে প্রাথমিক  বিদ্যালয়ে পড়াশুনা। প্রতিবারের মতো এবারও শ্রেনীতে প্রথম ও ৫ম শ্রেনীর বৃত্তি পেল। পায়ে জুতা ছাড়াই চলল ৮ম শ্রেনী পর্যন্ত।  এবার ও বৃত্তি পেল। অবদান মা, বড়ো ভাই এবং শিক্ষক গণের। বেরসিক অনেকটা বোকা ও ছিল।
এস এস সি পরীক্ষার সময় কোন এক পীর সাহেব আসলেন স্কুলের সবাইকে বলা হল হুজুরকে ছালাম কর। বেরসিক ও করল। তার প্রিয় কাশেম স্যার ছিলেন এ কাজের ভূমিকায়। যা হোক পরীক্ষা হয়ে গেল। রেজাল্ট প্রথম বিভাগ।
কলেজ জীবন(College Life):
 তার এটা একটু কষ্টের জীবন ছিল।
১৯৭৯ সনে  এসএসসি পাশ করার পরে রাজবাড়ী সরকারী কলেজে ভর্তি হল। আত্নীয় বাড়ি, হোস্টেল এবং লজিং(সূর্যনগর)  থেকে ক্লাস করার ৪ মাস পরে বুঝল ভাবে পড়াশুনা সম্ভব নয়। বালিয়াকান্দি কলেজের অফার ফ্রি থাকা খাওয়া সহ লেখাপড়া করা যাবে।যে কথা কথা সেই কাজ বালিয়াকান্দি কলেজে পুনরায় ভর্তি। ক্লাস চলতে থাকল  ৭ কিলোমিটার পায়ে হেটে বা বাইসাইকেলে। তার পরে একটি লজিং যা তিন মাস থাকা সম্ভব হয়েছিল।
চলবে---

২য় পর্ব-
৭ কিলোমিটার হেঁটে, বাইসাইকেলে, পেয়িং গেস্ট থেকে অনেক কষ্টে  এইস এস সি  পরীক্ষা হয়ে গেল। ফলাফল দ্বিতীয় বিভাগ। এ্ই ফলাফলে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছিল কিরন চৌধুরী। তবে কিরনের বোন মুসলিম হলেও কিরন অমুসলিম অবস্থায় মারা যাওয়ায় বেরসিকের মাঝে মাঝে  মন খারাপ হয়ে যায়।
এর পর অনার্সে ভর্তি কাহিনী আরও মজার তা লিখব অন্য দিন।
চলবে-  

 ৩য় পর্ব
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন ও ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে দুইবার ফোন করেছিল পরিচিত একজনকে। ফলাফল জানায়নি। পরে পাংশা বিশ্ববিদ্যালয়ে          বি-এসসি ও ঢাকা টিটি কলেজ হতে বি-এড করে শিক্ষকতা করতে থাকে। এরই মধ্যে সরকারী চাকুরী হওয়ায় যোগ দেয় চাকুরীতে। আশা চাকুরী শেষে অবসর ভাতা পাওয়া যাবে।এখন পেনশনের জন্য টেনশন হল কোন হারে পাবে। সরকার মহা বিপদে। একবার বলছে, পুরো পাওনা একবারে, কখনো বলছে অর্ধেক নগদ অর্ধেক কিস্তিতে আবার কখনো বলছে পুরোটাই কিস্তিতে দিবে।বেরসিক এখন সেনাবাহিনীর পেনশন নিয়ে ব্যস্ত।
চলবে-

No comments:

Post a Comment